পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন-“একজন মানুষের জীবন রক্ষা করা সমগ্র জাতির জীবন রক্ষা করার মত মহান কাজ”। পবিত্র কোরআনের এই বাণীকে ঘিরে যুগে যুগে বিভিন্ন মনীষিগণ মানব সেবার মাধ্যমে নিজেকে উৎসর্গ করে সমাজের কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত ছিলেন। রক্তদানের মত সামাজিক আন্দোলনে মাইজভান্ডারী তরিকার ভাইদের একত্রিত করে মুমূর্ষ, অসুস্থ ও অসহায় মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের দূর্ভোগ লাগব করার পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ) ছাহেবের মহানুভবতায় মানব কল্যাণে গঠিত মাইজভান্ডারী শাহ্ এমদাদীয়া ব্লাড ডোনার্স গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের শরীরের নিজেদের শরীরে রক্ত বিশেষ ও প্রয়োজনীয় মুহুর্তে দান করে মানবতার সেবায় নিয়োজিত। এইভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকলকে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
রক্ত(Blood) হচ্ছে মানব দেহের অন্যতম প্রধান ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্ত এক প্রকার তরল যোজক কলা,যার মধ্যে শতকরা ৫৫ ভাগ জলীয় অংশ যা রক্তরস বা পাজমা নামে পরিচিত এবং বাকি ৪৫ ভাগ কণা যা লোহিত কণিকা,শ্বেত কণিকা ও অনুচক্রিকা নামে পরিচিত।
সুস্থ শরীরের পুরুষ ও মহিলা যাদের বয়স ১৮ এর উপরে এবং ৫৫ এর কম। যাদের ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি।
ডায়াবেটিস রোগী
ব্লাড প্রেসারের ঔষধ খেলে।
যাদের শরীরে বিসমেটিক ফিভার আছে।
মহিলাদের মাসিক চলাকালীন সময়।
রক্ত দিলে আমরা কি সুবিধা পেতে পারি?
বিনামূল্যে মেডিকেল চেকআপ ও ৫টি পরীক্ষা
HIV/AIDS পরীক্ষা
রক্তে হেপাটাইটিস-বি ও হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস আছে কিনা
ম্যালেরিয়া পরীক্ষা
সিফিলিস পরীক্ষা
স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী পরিচয় পত্র (ডোনার কার্ড),যেটির মাধ্যমে নিজের এবং অন্যের প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন
একটি ডোনার্স পিন।
রক্তদান একজন মানুষের শ্রেষ্ঠতম সদিচ্ছা।
রক্তদান হচ্ছে বৈজ্ঞানিক মতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রক্তকণার জন্ম মৃত্যূ দেহের স্বাভাবিক কর্মকান্ডের অংশ। রক্তে লোহিত কণিকার আয়ুস্কাল ৩ মাস থেকে ৪ মাস। আপনি রক্ত দান না করলে রক্ত আপনার দেহে স্থায়ীভাবে থেকে যাবেনা।প্রতিদিনই দেহে কিছু কণিকা ধ্বংস হচ্ছে এবং কিছু নতুন করে তৈরি হচ্ছে।
রক্তদানের সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত “বোন ম্যারো” নতুন রক্ত কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়-যা লোহিত কণিকার প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়। দান করা রক্তের জলীয় অংশ পূরণ হয় ২ দিনের মধ্যে আর কণাগুলি ২১ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই পূরণ হয়ে যায়।ইংল্যান্ডে মেডিকেল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের হৃদরোগ,হার্ট এ্যাটাক ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
মানুষের শরীরে কি পরিমাণ রক্ত থাকে ও কাজে লাগে?
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি যে প্রাকৃতিক ধারা সে হিসাবে একজন সুস্থ শরীরের পুরুষের তার শরীরের অনুপাতে ৭৬ মিলিলিটার রক্ত এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৬ মিলিলিটার রক্ত তার প্রতি কেজি ওজনে বিদ্যমান।এখন আমরা যদি ধরি একজন সুস্থ শরীরের পুরুষ বা মহিলার রক্তের অনুপাত ৫০ কেজি ওজনের ব্যক্তির শরীরে তাহলে আমরা পাই পুরুষের ক্ষেত্রে ৭৬×৫০=৩৮০০ মিলিলিটার এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬৬×৫০=৩৩০০ মিলিলিটার রক্ত।আর পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে রক্ত প্রয়োজন হয় মাত্র ২৫০০ মিলিলিটার।এখানে পুরুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত থাকে ১৩০০মিলিলিটার ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮০০মিলিলিটার যা শরীরের কোন কাজে আসেনা এবং তা পচে গলে নষ্ট হয়ে বর্জ্য আকারে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।কিন্তু আমরা প্রতি ব্যাগ রক্ত দান করি ৪৫০ মিলিলিটার বা তার চেয়ে কম।
মানুষের রক্তের কোন বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি।এছাড়া অন্য কোন প্রাণীর রক্ত মানুষের শরীরে দেয়া যায়না।তাই হৃদয়ের দান হিসাবে মানুষের প্রয়োজনে মানুষ রক্ত না দিলে,রক্ত পাওয়ার আর কোন বিকল্প উপায় নাই। বাংলাদেশে প্রতি বৎসর প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।যার বেশির ভাগ আসে পেশাদার রক্ত দাতা থেকে যা মোটেই নিরাপদ নয়। তাই মুমূর্ষ মানবতার এই সংকটে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরকেই।
লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৪তম ওরশ। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘অলিগণ রাসূলের প্রতিনিধি। তাদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রান্তি লগ্নে সবসময় ছুফীসাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামোর রক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিশ্বাসের সাথে সমাজ সংস্কৃতির নৈতিক সংস্কারে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ ত্বরিকার অনুসারীরা ঐশি প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’
আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায় ওরশে মিলাদ পরিচালনা করেন দারুত তায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, খান অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ও সৈয়দ ফজলুল কাদের, আওলাদে গাউছুল আজম সৈয়দ এরহাম হোসাইন ও সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী ওরশ। ওরশ শরীফে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে এসেছেন আশেক-ভক্তরা। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত এসেছেন এবারের ওরশে। তারা মাজার জেয়ারত, বিশেষ মোনাজাত, জিকির, জিকিরে ছেমাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সময় পার করেন।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও মাইজভাণ্ডারী স্পেশাল ফোর্স (এমএসএফ) দায়িত্ব পালন করেন। সুষ্ঠুভাবে ওরশ সমাপ্ত করতে সহযোগিতা করায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকেদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
এছাড়া গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“তাহাজ্জুদের নামাজ পড়,ছালাতু তছবীহের নামাজ পড়িও, কোরান শরীফ তেলাওয়াত করিও।”
“কবুতরের মত বাছিয়া খাও। হারাম খাইও না, নিজ সন্তান সন্ততি নিয়া খোদার প্রশংসা কর ।”
“গাউছে মাইজভান্ডারীর আদর্শ উর্ধে তুলিয়া ধরিলে বিশ্ববাসীর চোখ চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দিকে ঘুরিয়া যাইবে।”
“ঈমান ছাড়া এত্তেবা হয়না,এত্তেবা ছাড়া মোত্তাবেয়ীন হওয়া যায়না।”
সমসাময়িক ও পরবর্তি ছুফী ওলামায়ে কেরাম তাঁর প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর গাউছে আজমিয়তের স্বীকৃতি দিয়েছেন-
“গাউছে মাইজভান্ডারীর নিঃশ্বাসের বরকতে পূর্বদেশীয় লোকেরা খোদা পন্থী ,হাল ও জজ্বার অধিকারী হয়েছে। তিনি কবরস্থ হওয়ার ফলে বিভিন্ন কবরে উজ্জ্বলতা ও জালালী দেখা দিয়াছে। আহমদ উল্লাহ যিনি, তিনি সমস্ত অলিদের সর্দার যাহার ‘ছিফত’ উপাধি গাউছুল আজম।”-মরহুম মওলানা জুলফিকার আলী সাহেব।
“হযরত শাহ্ আহমদ উল্লাহ কাদেরী,যিনি ভূখন্ডের পূর্বাঞ্চলে বিকশিত কুতুবুল আক্তাব। তিনি মাইজভান্ডার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত গাউছুল আজম নামধারী বাদশাহ।–
রসুলুল্লাহ (সঃ) এঁর নিকট বেলায়তে ওজমা বা শ্রেষ্ঠ বেলায়তের দুইটি সম্মান প্রতীক বা তাজ ছিল। এই সম্মান প্রতীক বা তাজ দুইটির মধ্যে একটি হযরত শাহ্ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর মস্তক মোবারকে নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত।
যেই কারণে তিনি পূর্বাঞ্চলে আবির্ভূত গাউছুল আজম বলিয়া খ্যাত,সেই কারণে তাঁহার রওজা মোবারক মানব-দানবের জন্য খোদায়ী বরকত হাছেলের উৎসে পরিণত হইয়াছে। ”- ,আলহাজ্ব মওলানা ছৈয়দ আজিজুল হক আল কাদেরী ছাহেব (শেরে বাংলা)
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত আলহাজ্ব হজরত মাওলানা শাহ্ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃ) এঁর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ২৭ রবিউল আওয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম।
১০ মাঘ ২৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হজরত মাওলানা শাহ্ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর ১১৪তম ওরশ শরীফ।
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম রাহনুমায়ে শরীয়ত ও পীরে ত্বরিকত হযরত আলহাজ্ব মাওলানা শাহ্ ছুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃ জিঃ আঃ) এঁর ব্যবস্থাপনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প।
১। তেলাওয়াতে অজুদঃ নির্জন সময়ে গত দিনের ভাল-মন্দ কাজ-কর্মের বিচার ,চিন্তা ও ধ্যানের মাধ্যমে মন্দের জন্য অনুতাপ, অনুশোচনা,ভালোর জন্য নিজ পীরের অনুগত্য এবং খোদার সাহায্য কামনা ,মোনাজাত ,বিনয়ে প্রার্থনা –অনিবার্য। ফলে খোদা পথচারী নাছুত্ভাব কামনার উর্ধে ‘লাওয়ামা’ ‘মলকুত’ শক্তি জগতে উত্থিত হইতে সক্ষম হয়। যাহাকে ছুফি পরিভাষায় ‘ফানা আনিল খালক্’ বলে।
২। অনর্থ পরিহারঃ যাহা না হইলে চলে ও উপকার বিহীন ,এহেন কাজ-কর্ম,কথাবার্তা,বাক্বিতন্ডা ত্যাগ ,পরিহার,এড়াইয়া চলা এবং পরের দোষ তালাস না করা ,পরমুখাপেক্ষীতা ও পরশ্রীকাতরতা – বিমুখ হইয়া ,নিজ শক্তি সামর্থে হালাল রুজির প্রতি আস্থাশীল হওয়া। অপচয় ,অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার-যথাঃপান,বিড়ি-সিগারেট,অলঙ্কার,অঙ্গ বিকৃতকারী পোষাক পরিচ্ছদ,পবিত্র কোরান যাহাকে ‘মর্হান’ অহংকারী ‘ফাখুরাণ’ গর্বকারী বলে নির্দেশ করেছে,যাহা মানবের দৈহিক ,নৈতিক অবনতি ঘটায়, কর্ম বিমুখতা,অভাব অনটন ,আর্থিক দুর্গতি আনয়ন করে। ভূষণ,ফ্যাসন,মোহের ফলে আদি অসভ্যতা ‘পছন্দ’ হইয়া পড়ে। সুতরাং এ সমস্ত পরিহারের ফলে খোদা পথচারী ‘ছালেক’ কোরানের বাণী “মান্নাহান্ নাফ্ছা আনিল হাওয়া ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মাওয়া” মতে নিশ্চিত স্বর্গবাসী, ইহাকে ছুফি পরিভাষায় বলে ‘ফানা আনিল হাওয়া’।
৩। সন্তোষঃ খোদার মঙ্গলদায়ক ইচ্ছা শক্তির নিকট নিজ সংসার স্বার্থ বুদ্ধিকে নত করিয়া মঙ্গলদায়ক রূপের ধ্যানে ‘ছাবের’ ধৈর্যের সহিত অপেক্ষা করা। যেহেতু স্রষ্টা সৃষ্টির রক্ষক,পালক,বর্দ্ধক,মঙ্গলদায়ক। ছুফি পরিভাষায় এই গুনজ প্রকৃতিকে বলে ‘তছলিম’ বা ‘রজা’। এই ত্রিবিধ নীতিমালাই ‘ফানায়ে ছালাছা’ বা বিনাশ পদ্ধতি । যাহা হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কেবলার সপ্ত পদ্ধতির অন্তর্গত। প্রথম অংশ ‘এবাদাতে মোত্নাফিয়া’ হিসাবে ‘ছালেক’ খোদা পথচারীর জন্য অপরিহার্য। উপরোক্ত গাউছিয়ত নীতিহীন,বিমুখ ব্যক্তির মাইজভান্ডারী তরিকার অনুসারী দাবী করা চলেনা।
বিনীত
খাদেমুল ফোক্রা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী
সাজ্জাদানশীন,গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল,মাইজভান্ডার শরীফ,ফটিকছড়ি,চট্টগ্রাম।
সুত্রঃমানব সভ্যতা